অল্প অল্প প্রেমের গল্প
১ম পর্ব
রিয়ান আর তিয়াশা একই ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করে,,,
রিয়ান তিয়াশা এক বছরের সিনিয়র,,,,
রিয়ান অর্নাস ফাইনাল ইয়ারে আর তিয়াশা অর্নাস ৪র্থ বর্ষে পড়াশোনা করে,,,,
ওরা দুজন দুজনকে ভিষন ভালবাসে,,,,
ক্লাস শেষে প্রায়ই ওরা ওদের প্রিয় জায়গা পার্কের লেকের পাড়ে যায়,
দুজনে নিরিবিলি পরিবেশে একসাথে বসে গল্প করে,,,,,
প্রায় দুই বছর ধরে ওদের রিলেশন চলছে,,,,
ওদের পরিবারের কেউ জানে না যে ওদের সম্পর্ক অাছে,
তিয়াশা ধনী পরিবারের সন্তান,,,,,,
আর রিয়ান মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান,,,,,,,
প্রতিদিনের মত ওরা দুজন লেকের পাড়ে বসে কথা বলছে,,,,
রিয়ানঃ আচ্ছা তিশু,,,,,,
তুৃমি সেদিন বললে যে তোমার বিয়ের কথাবার্তা চলছে,
এখন কি অবস্থা????
তুমি এ ব্যাপারে কিছু বলছো না,,,,,,,
তিয়াশাঃ হ্যা, বাবা আমার বিয়ের জন্য তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে,
কি করবো বুঝতে পারছি না,,,,
আচ্ছা, চলো না আমরা পালিয়ে যাই,,,
রিয়ানঃ তুমি এই কথা আর কতবার বলবে??আর পালিয়ে গেলে তোমাকে খাওয়াবো কি????
তিয়াশাঃ যতবার ইচ্ছে বলবো,
তুমি তো কিছুই করছো না,,,,,
আমার বাবার তো অনেক টাকা,
আমি না হয় লাখ পাঁচেক টাকা নিয়ে যাবো,,,
রিয়ানঃ এটা হয় না তিশু
পাঁচ লাখ টাকায় কতদিন চলবো?????
তাছাড়া এতে আমাদের দুই পরিবারের সবাই অনেক কষ্ট পাবে,,,,,,,,
তিয়াশাঃ তাহলে আর কি,,,
আমি বাবার কথামত বিয়ে করে ফেলি,,,
তুমি তো কিছু করবে না,,,
রিয়ানঃ ও কথা বলো না তিশু,
আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না,,,,,,,
তিয়াশাঃ তুমি কি ভাবো,,,
আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো বুঝি????
আমার কিছুই ভালো লাগছে না এসব,,,,,
তুমি কিছু একটা করো,,,,,,,,,,
রিয়ানঃ আচ্ছা, তুমি আমায় তিন দিন সময় দাও,
কিছু একটা ব্যবস্থা করছি,,,,,
তিয়াশাঃ দেখ এরকম তিন/ চারদিন সময় করতে করতে এক বছর হয়ে গেলো,,,,,
কিন্তু কিছু তো করতে পারো নাই,
বাবা এক বছর আগেই আমাকে বিয়ে দেবে বলেছিলো,
কিন্তু আমি পড়াশোনার অযুহাতে বাবাকে মানিয়ে রেখেছি,,,
এরকম ভাবে চলতে থাকলে একদিন দেখবে আমি অন্যকারোর সাথে সংসার করছি,
তুমি তখন মুড়ি খেও কেমন।
বলেই তিয়াশা উঠে যেতে নিলো আর তখনি রিয়ান তিয়াশার হাত টেনে ধরলো,,,,,,,
রিয়ানঃ রাগ করছো কেন পাগলী???
আমি এবার পাক্কা একটা ব্যবস্থা করবো,,,,,
তিয়াশাঃ ঠিক তো?????
রিয়ান তিয়াশার কপালে একটা ভালবাসার পরশ এঁকে দিয়ে বললো,,
রিয়ানঃ প্রমিজ সোনা, এবার তোমাকে আমি ঘরে তুলবো,,,,
কারন,,,,,,,,,
তিয়াশাঃ কি কারন বলো,,,,
রিয়ানঃ কারন একটা বড় মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানীত কাল আমার ইন্টারভিউ,
দোয়া করো যাতে চাকরীটা হয়,
বেতন বেশী না,
তবে কমও না, প্রায় পঞ্চাশ হাজারের কাছাকাছি,
চাকুরী হয়ে গেলে কালই তোমাদের বাড়িতে যাবো মা বাবাকে নিয়ে,,,
বিয়ের প্রস্তাব দিতে,,,,,,,,,
তিয়াশা খুশিতে পাগল হয়ে গেলো,,,
এতোটাই পাগল হয়ে গেলো যে লাফ দিয়ে রিয়ানের কোলে উঠে পড়লো,,,,,
রিয়ানঃ কি করছো এসব পাগলী মেয়ে???
পার্কে সবাই দেখছে,
এভাবে তোমাকে আমার কোলে দেখলে এখনি পাবলিক ধরে নিয়ে আমাদের বিয়ে দিয়ে দেবে,,,,,,
তিয়াশাঃ ভালো হবে,
আমাদের অত কষ্ট করতে হবে না,,,,,,,
রিয়ানঃ হয়েছে,,,,,
এবার কোল থেকে নামো পাগলী,,,,,,,
দোয়া করো যাতে চাকুরীটা হয়,
আগেই এতো খুশি হয়ে যেও না, চাকুরীটা আগে পেয়ে নেই,,,,,,,,
তিয়াশার মনটা খারাপ হয়ে গেলো,,,
তিয়াশাঃ তার মানে????
তোমার কোন কনফিডেন্স নেই যে চাকুরীটা হবে????
রিয়ানঃ অবশ্যই আমার কনফিডেন্স আছে,,,,,,
তিয়াশাঃ তাহলে এসব বলছো কেন????
যে চাকুরীটা আগে হোক,
তারপর খুশি হও,,,,,
রিয়ানঃ ওসব কথা বাদ দাও,
তুমি আল্লাহর কাছে দোয়া করো যাতে আমি
কাল তোমার বাবার সামনে গিয়ে দাড়াতে পারি,,,,,
তিয়াশাঃ আমার খুব ভয় করছে,
কারন চাকরীটা না হলে বাবাকে বিয়ের জন্য মানানো খুব কঠিন,,,,,
আর আমি তোমাকে ছাড়া কিছুতেই থাকবো না,
যদি চাকরী নাও পাও,,,,আমি কিন্তু তোমার সাথে পালিয়ে বিয়ে করবো,,,,,
রিয়ানঃ এসব বলো না সোনা,,,,,,,
কাল আমি যেভাবেই হোক সবকিছু ঠিক করবো,,,
আমরা এক হবই,,,,,,
এরপর ওরা দুজন দুজনকে জরিয়ে ধরলো,,,,,
তারপর রিয়ান বললো,
রিয়ানঃ এভাবে কতক্ষন জরিয়ে ধরে থাকবে,
ছাড়ো এবার সোনা,
একবার যদি পাবলিকের নজরে যাই আমরা
তাহলে বেইজ্জত ভাবে বিয়ে করতে হবো তোমাকে,,,,,
আমি তোমাকে ধুমধাম করে বিয়ে করে ঘরে তুলবো,,,
তিয়াশাঃ উফফ, তোমার সাথে একটু রোমান্স করেও শান্তি নেই,
এতো নিরিবিলি জায়গায় কে অাসবে???
তুমি সবসময় আজাইরা কথা বলো,,,,
রিয়ানঃ ওকে বাবা, আর বলবো না,,,
এই বলে রিয়ান তিয়াশাকে আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরলো,,,,
কিছুক্ষন পর ওরা দুজন দুজনের বাসায় চলে গেলো,,,,,
রাতে খাওয়া দাওয়ার সময় তিয়াশার বাবা বললো,,,
তিয়াশার বাবাঃ কাল তোমার বিয়ে,,,,
আমার বন্ধুর ছেলের সাথে,,,,,,
তিয়াশার এই কথা শুনে চোখে পানি চলে আসলো।
তিয়াশাঃ বাবা, কাল বিয়ে আমাকে জানানোর প্রয়োজন বোধ করলে না তুমি????
তিয়াশার বাবাঃ এতদিন এতো পাত্র দেখলাম তোমার পছন্দ হলো না,
তোমার কোন পছন্দও নেই,
তাছাড়া ছেলেটা খুবই ভালো,,,,,,,,
তুমি ওর সাথে সুখী হতে পারবে,,,,,আর তার পরিবারের লোকজন দেরী করতে চায় না,
ছোট অনুষ্ঠান করেই তারা বউ ঘরে তুলবে,,,,,
তিয়াশাঃ কিন্তু বাবা?????
আজ আমি বলছি, আমার পছন্দের একজন আছে,
নাম……
তিয়াশাকে আর কিছু বলতে দিয়ে ওর বাবা বললো,,
তিয়াশার বাবাঃ আমি তোমার আর কোন কথা শুনবো না,,,,
এখন আর এসব বলে লাভ নেই,,,,
বিয়ের জন্য তৈরি হও,,,,,
তোমার জন্য কিছু গহনা আর শাড়ি কেনা হয়েছে,
যাও তোমার রুমে গিয়ে দেখে নাও।
তিয়াশা আর কিছু না বলে কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে রুমে চলে গেলো,,,,,,,
কেমন লাগলো???
সবার মতামত চাই,,,,,,,
2nd পার্টের অপেক্ষায় থাকুন,,,,,,,,,,,,