নিরূদ্দেশ : –
সুপ্রভাত প্রিয়তমা,
আজ আমাদের ব্রেক আপ এর ১ বছর হল, গত তিন মাস ধরে আমার চাকরিটাও আর নেই। বাড়িতে মিথ্যা বলতে বলতে হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। আর পারছিলাম না, তোকে বলেছিলাম একদিন সব ছেড়ে যেদিকে দুচোখ যায় চলে যাব। আজ বেরিয়ে পড়েছি। জানি না কোথায় যাব তবে বেরিয়ে পড়েছি, দূরে কোথাও যাবো যেখানে আমায় কেউ চেনে না।লাইফে ফ্রাস্টু খেয়ে, জীবনসংগ্রামে রোজ হারতে হারতে আমি হাঁপিয়ে গেছি। ক্লান্ত আমি, আর পারছিনা, তাই আজ হারিয়ে যাচ্ছি একা। কেউ কোথাও নেই। বাড়িতে বলেছি অফিসের কাজে রিমোট লোকেশনে যাচ্ছি, এই বলে নিজের মত বেরিয়ে পড়েছি। তবে চিন্তা করিস না, প্রয়োজনীয় ওষুধ আমি নিয়েছি। আর বরাবরের মত হারিয়ে যাচ্ছি না, ঠিক ফিরে আসব একদিন সকালে।কেউ কিছু জানেনা, তোকে শুধু সত্যি টা বললাম কারণ তুই আজও আমার সবচেয়ে কাছের। আর এইটা পড়ার পর প্লিজ কোনো হাঙ্গামা করিস না। পুলিশ বা বাড়ির লোককে কিছু জানাস না, ফালতু সিন ক্রিয়েট হবে। আমি তো ফিরে আসবই, প্লিজ এই অনুরোধ টা রাখিস। একদম চিন্তা করিস না, আমার কিছু হবেনা আর আমাকে ফোন বা হোয়াটসঅ্যাপ এ যোগাযোগ করিস না। নেটওয়ার্ক সীমানায় পাবিনা আমায়। খুব ভালো থাকিস আর নিজের শরীরের খেয়াল রাখিস। অনেক ভালোবাসা রইল।
— এই বলেই লকডাউনের আগে নিখোঁজ হয়ে গেছিল অরণ্য । আজও সে ঘরে ফেরেনি, থানা পুলিশ করেও কোন সন্ধান মেলেনি । সিম কার্ড অনুযায়ী তার লাস্ট লোকেশন জানা যায় এনজেপি। কে জানে সমাজের কাছে হেরে যাওয়া পাহাড় ভালোবাসা ছেলেটা হয়তো পাহাড়ের কোলেই ঘুমিয়ে গেল।
©সৌরভ