#লীলা
✍#ঝিলিক_মুখার্জী_গোস্বামী
🔸🔸🔸🔸🔸🔸🔸🔸🔸🔸🔸🔸🔸🔸
__ টলমল পায়ে বাড়িতে ঢুকেই শাক্য, লাথি মেরে সবটুকু ছত্রভঙ্গ করে; চুলের মুঠি ধরে টানতে টানতে নিয়ে এল। মুখভর্তি কটুক্তি। তার কটুক্তির খাড়ায় ঝুলে থাকে…..
__শাকম্ভরী,সিঁদুর লেপ্টে যাওয়া মুখে এলোমেলো চুলে; প্রচন্ড শক্তির উপর ভর করে উঠে দাঁড়িয়ে এগোতে থাকে ঘরটার দিকে। পরম মমতায় ছত্রভঙ্গ ঘরটাকে সাজিয়ে তোলে। ভিজে চোখে তাকিয়ে থাকে তার দিকে। ধূপ-ধূনার মিষ্টি গন্ধে ভরে ওঠে ঘর। হাজার প্রদীপের দীপ্তি ছড়িয়ে পড়ে মুখটায়। চারজোড়া চোখ একে অপরের দিকে তাকিয়ে আছে।
–“এবছরটা অন্ততপক্ষে সম্মতি দাও”।
–“মানত করেছিলাম “।
–“ওই টাকায় আমি……”
–“দোহায় তোমায়। থামো”।
__ অবসন্ন মনে শাকম্ভরী, তার সুখ-দুঃখের সাথীর কাছে গিয়ে উপস্থিত হয়। একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকে মুখটার দিকে। মুখে ফুটে উঠেছে তৃপ্তিকর একটা হাসি।
__ শাক্যর অবশ শরীরটা কে নিয়ে হসপিটাল থেকে হসপিটালে ঘুরেছে শাকম্ভরী। অবশেষে ঠাঁই মিলেছে। হাজারো পরীক্ষা নিরীক্ষা র পর,
–“এখানে ফেলে রেখে লাভ নেই”।
__ চেয়ারটা যেন পরম যত্নে বেঁধে রেখেছে শরীরটাকে। চেয়ারের চাকা ঘুরলে, শরীরটা সচল হয়। মুখাবয়বে পরিবর্তন ঘটেছে, শাক্যর। নীচের ঠোঁট টা ভীষণ অভিমানী হয়ে ওপরের ঠোঁটের থেকে আলাদা হয়ে গেছে। চোখ দু’টো স্থির।
__ লাল পাড় সাদা শাড়ি, কপালে বড়ো লাল টিপে সেজে উঠেছে শাকম্ভরী। রোজকার মতো। শাক্য কে পরিপাটি করে সাজিয়ে এনেছে সে ঘরে। যে পা জোড়া কোনোদিন ও……
__ ব্যথাতুর চোখে হাজার বাতি ঘুরিয়ে চলেছে দু’হাত।
–“কেন”?
__ তার মুখের হাসি আরও চওড়া হচ্ছে।
–” নাস্তিককে আস্তিক করার জন্য বড়ো প্রয়োজন ছিল”।
–“ক্ষমা করে দাও”।
–“ভুল করেছি”।
__ ভীষণ দাম্ভিকতায় সেদিন লাথি মেরেছিল নৈবেদ্য এর থালা। অপমান করেছিল তার পরম ভক্ত কে।
__ ঘরের মন্দিরটা আজ সেজে উঠেছে অন্য সাজে। মন্দির মধ্যস্থ সেও। পাঁচ পাপড়ি সমেত রক্তের রঙের জবা গুলো যেন আরও বেশী করে খেলা করছে আজ। সারা বাড়িতে কলরব।
__ মন্ত্রোচ্চারিত হচ্ছে। ঘরময় মিষ্টি সুবাস।
__ শাক্যর দিকে তাকিয়ে আছে শাকম্ভরী।
__ সবই তাঁর…..
🔸🔸🔸🔸🔸🔸🔸🔸🔸🔸🔸🔸🔸🔸🔸