Today, we have gone a lot of distance from reading the storybooks. Because we don’t have sufficient time for going to the library and reading the storybooks In this age of the Internet. But, if we can read the story on this internet, then it is very interesting. So we have brought a few collections of Bengali story for you. Hope you will enjoy the stories in this busy lifestyle. In this post you will find the latest Bengali Horror Story, You can read here Horror Story, download Bengali Horror Story PDF, Hare you found top Horror Story in Bengali.
ভৈরবী
বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়
বারবার সুযােগগুলাে ফসকে যাচ্ছিল । আবেদন করছিলাম , ইন্টারভিউ দিচ্ছিলাম । শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মনে হচ্ছিল হয়ে যাবে , কিন্তু প্রতিবারই তীরে এসে তরী ডুবছিল । সেই সময়ই একদিন বড়জেঠু বাড়িতে এসে কথায় – কথায় দেশের
বাড়ির ভৈরবী মন্দিরের প্রসঙ্গ তুললেন । এই মন্দিরের কথা আমি আগেও শুনেছি , বাংলা আর ওডিশার সীমান্তে আমার পরুষদের যে জমিদারি ছিল , তার ভিতরেই ছিল ওই মন্দির । জমিদারি ব্যাপারটা একেবারেই ভাল লাগত না বলে , ওইসব নিয়ে আগ্রহ দেখাইনি কখনও । তা ছাড়া বাবার চাকরির সুত্রে কখনও চেন্নাই , কখনও ইন্দোরে থেকেছি , দেশের বাড়িতে একবার বা দু ‘ বার গিয়েছি মাত্র । কিন্তু বাবা বেশি কিছু না বললেও , ছোটবেলায় ঠাকুরমা আর পরে মায়ের মুখে বহুবার শুনেছি যে রাতুলা গ্রামে শতাব্দী – প্রাচীন ভৈরবী মন্দির ভীষণই জাগ্রত । সেখানকার দেবী তাঁর ভক্তদের যে – কোনও প্রার্থনা পূর্ণ করেন । শুধু একটাই শর্ত , সেই মন্দিরে প্রত্যেককে একা প্রবেশ করে নিজের পুজো নিজেকে দিতে হয় । একসঙ্গে অনেকে মিলে পুজো দেওয়া যায় না ।
আমার দাদা চাকরিসূত্রে দিল্লিতে থাকে । বাবার শরীরটা ভাল যাচ্ছে না কদিন। আমি তাই কারও বারণ না – শুনে একাই বেরিয়ে পড়লাম , পিঠে একটা ব্লকসাক নিয়ে । কোন ছােটবেলায় গিয়েছি , রাস্তাঘাট কিছুই চিনি না । কিন্তু এখন তাে ‘ গুগল মপি ’ হাতের কাছে । অত দুশ্চিন্তার কী আছে ? একটা গাড়ি ভাড়া করে যাওয়াই যেত , কিন্তু তাতে যাওয়ার খ্রিলটা হারিয়ে যায় । আমি তাই ট্রেনে চেপে , ট্রেন থেকে নেমে বাসে উঠে বহড়াগোড়ায় গিয়ে নামলাম , যেখান থেকে বাংলা – ওডিশা – ঝাড়খণ্ড , তিনটেই খুব কাছে । ওখান থেকে একটা ট্রেকার চপে যখন রাতুলা গ্রামে গিয়ে পৌঁছলাম , তখন সন্ধে নামছে ।
পায়ে – পায়ে ধলো উতুই ,
গােরু চড়িয়ে ঘরে ফিরছে রখালেরা , কিছুক্ষণ পরপর মাথায় কাঠকুটো কিংবা খড়ের আটি নিয়ে কৃষানীরা ঘরে ফিরছে , নিজের দেশের সঙ্গে অন্যভাবে পরিচয় হল আমার । বাবা কাউকে একটা ফোন করেছিল , আমি বারণ করা সত্বে ও । আমি বাস থেকে নামার আগে ফোনে মা পইপই করে বলে দি তার নামটা । আমাদের জমিজমার দেখাশােনা করতেন আগে , তাঁরই এক ছেলে , নাম মাধব ।
Bengali Horror Story – Horror Story In Bengali – Bangla Vuter Golpo
আমি বহুড়াগােড়া থেকে ট্রেকারে চেপেই দেখেছিলাম মােবাইলের চার্জ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে , গ্রামে পৌছে দেখলাম আর একটুও চার্জ নেই । এখানে তাে চার্জ দেওয়ার মতাে জায়গাও নেই কোথাও , এক যদি না যে বাড়িতে গিয়ে থাকব , সেখানে ইলেকট্রিক কানেকশন থেকে থাকে । কিন্তু আদৌ কি বিদ্যুৎ এসেছে এই গ্রামে ? দেখে তাে মনে হচ্ছে এখনও সন্ধে হলেই অন্ধকারে ডুবে যায় চারদিক । আমার ভাবনার ভিতরেই সন্ধের শাঁখ বেজে উঠল , দূরে কোথাও । আর ঠিক তখনই একটা ছায়া স্পষ্ট হয়ে উঠল যেন ।
“ আপনি কি চৌধুরীবাড়ির ? অমরেশ চৌধুরীর মেয়ে ? ”
“ আপনিই কি মাধবজেঠু ? ” আমি জিজ্ঞেস করলাম লােকটাকে । বাবা বলেছিল যে কথা বলে নিয়েছে । লােকটা ঘাড় নেড়ে বলল , “ গ্রামে কি আর নামের ঠিক আছে ? সকালে যে মাধব , বিকেলে সেই মহেশ্বর , সন্ধেবেলা আবার গােপাল । এক – একজনের যে কত রকম নাম । আবার কারও কারও কোনও নামই নেই । সারা জীবন পচা কিংবা ‘ ভজা ’ নামে চালিয়ে যায় । আপনি চলুন এখন পা চালিয়ে সন্ধে হয়ে গেল । ”
“ কিন্তু কোথায় যাব তাই তাে জানি ! আমাদের বাড়িটা তাে শুনেছি বিক্রি হয়ে গিয়েছে । ”
‘ বিক্রি হােক আর যাই হােক , আপনার থাকার অসুবিধে হবে না । আপনারা এই গ্রামের রাজা ছিলেন । ” লােকটার কথা শুনে হাসি পেয়ে গেল । এই তাে গ্রাম , তার আবার রাজা । আগেকার দিনে ভারতবর্ষে অনেক ছােট ছােট রাজা ছিল , তারা আসলে সবাই একটু রংচংয়ে জমিদার । রাজত্বের কিছুই তাদের ছিল না , তবু খাজনাটাজনা নিয়ে অত্যাচার করার পাশাপাশি দু – চারটে পুকুরটুকুর খুঁড়েছে তারা , এক – আধটা । স্কুলটুলও করেছে৷
শিক্ষিত লােক কি আর বেশিদিন গাঁ -গঞ্জে থাকে ? সব শহরে পালিয়ে যায় । তবু আপনার দাদুর বানানাে ইশকুলটা টিমটিম করে চলছে ।
” চমকে গেলাম আমি । লােকটা কি মনের কথা পড়তে পারে নাকি ? ‘ “ তাও যে লােকের ভিড় দেখছেন , সেসব এই ভৈরবী মন্দিরের জন্য । সামনেই মায়ের বাৎসরিক পুজো তাে সব । সেই টানেই আসছে ।
” “ কেন আসে ? দেবী কি খুব জাগ্রত ? ” “ জাগ্রত না ঘুমন্ত কে জানে । কারও জন্য জাগ্রত , কারও জন্য ঘুমন্ত । কেউ মরে গেলেও ফিরে তাকায় না , আবার কারও পায়ে আঁচড় লাগলেও হয়তাে তাড়াতাড়ি রক্ষা করতে নামে।ভগবানের স্বভাব যেমন ।সবার সব কথা তাে মাথায় নেওয়া যায় না,না ? ”
লােকটার কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম । ভগবান যে সবার সব দুঃখ দূর করতে পারেন না , এরকম কথা তাে গ্রামের মানুষের মুখে চট করে শােনা যায় না ।
Bengali Horror Story – Horror Story In Bengali – Bangla Vuter Golpo
দরজা খুলতেই ক্যাঁচ করে আওয়াজ হল একটা ।
বাড়িটার ভিতরে ঢােকার সময় কোথাও একটা লােকের গলার আওয়াজ পেলাম না । জানলাম যে বাড়িটা যারা কিনেছে , তারা অবাঙালি।
বছরে , দু ’ বছরে একবার আসে । সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় অন্ধকারে কেমন একটা লাগছিল । কিন্তু টর্চ জ্বালাতে যেতেই বারণ করল লােকটা , “ এমনিই চলে যাওয়া যাবে । টর্চ জ্বালানাের দরকার নেই । আসলে এখানে নানা রকম পােকামাকড় , লতা থাকে তাে । আলাে গায়ে পড়লে কখন কী করে বসে । ঘরের ভিতর তাে আলাে আছেই । আপনি ভিতরে ঢুকে বিশ্রাম নিন । আমি সব ব্যাবস্তা করছি ।
যে ঘরটায় ঢুকলাম সেখানে পরিপাটি করে বিছানার চাদর পাতা । আমি ঘটায় ঢুকলাম ঘরের ভিতর একটা হ্যারিকেন জ্বলছিল । কাছে গিয়ে একটু উসকে দিতেই হ্যারিকেনের আলাে বেশ জোরালাে হয়ে উঠল । ঘরের লাগােয়া অ্যাটাচড বাথ দেখে আমি বেশ চমৎকৃত হলাম । না , আমার পূর্বপুরুষরা রীতিমতাে শৌখিন লােক ছিলেন বলতে হবে । নইলে সেসময় এরকম ব্যবস্থার কথা ভাবা যায় না ।
Bengali Horror Story – Horror Story In Bengali – Bangla Vuter Golpo
গিজারটিজার না – থাকলেও একটা চৌবাচ্চায় গরম জল ধরা আছে । আর জানলা দিয়ে পরিষ্কার চাঁদের আলাে আসছে বলে , এতটুকুও অসুবিধে হচ্ছে না । স্নান সেরে ঘরে এসে দেখলাম , টেবিলের উপর কাঁসার থালায় পােলাও পাশে বাটিতে – বাটিতে মাছ , মাংস , তরকারি , পায়েস , আরও কত কী ! খিদে পেয়েছিল বলে বসে গেলাম তাড়াতাড়ি খেতে – খেতে মনে হল , কে রেখে গেল খাবারগুলাে ?
ভাবতেই দরজাটা একটু দুলে উঠল । কোথাও কারও উপস্থিতি টের পেলাম না ।
খেয়ে উঠে কিছুক্ষণ পায়চারি করে বিছানায় বসেই মনে হল , মােবাইল কোথায় চার্জ করা যায় , একটু জেনে নিলে হত লােকটার কাছ থেকে । ভুলটা আমারই , পাওয়ার ব্যাঙ্ক সঙ্গে রাখা উচিত ছিল । বাড়িতে বাবা – মা নিশ্চয়ই খুব চিন্তা করছে । যদিও বিকেলেই কথা হয়েছে , তবু . . . কাল সকালে ঘুম থেকে উঠেই বাইরে কোথাও থেকে একটা ফোন করতে হবে বাড়িতে ।
ভাবতে – ভাবতে চোখটা একটু লেগে এসেছিল হয়তাে , হঠাৎ একটা প্রচণ্ড আওয়াজে চটকাটা ভেঙে গেল একদম । আর ভেঙে যেতেই সামনে যাকে দেখলাম সেই অভয় চৌধুরীর কথা আমি ছােট থেকে শুনে আসছি । ওঁর একটা পোর্ট্রেটও আছে আমাদের বাড়িতে । আমার বাবার ঠাকুরদা ছিলেন ভদ্রলােক । ওঁর দাপটে নাকি বাঘে আর গােরুতে একসঙ্গে জল খেত । কিন্তু এখানে এখন তে কী বলছেন ইনি ?
॥ ২ ॥
“ পরপর দু ’ বছর বৃষ্টি হয়নি ।
ফসল হচ্ছে না কোথাও । যেভাবেই হােক , আমার এবছর বৃষ্টি চাই – ই চাই । তার জন্য যা করার করুন , অভয় চৌধুরী চেঁচিয়ে উঠলেন ।
ঘন লাল পট্টবস্ত্র পরা একটা লোক উত্তরে বলে উঠল , “ তা হলে শুক্লা বলিদান করতে হবে । অমাবস্যা নয় , পূর্ণিমার রাতে মায়ের চরণে উৎসর্গ করতে হবে একজন সর্বসুলক্ষণা আট ন’বছরের মেয়েকে । ”
“ তাই করুন তা হলে তান্ত্রিকমশাই ! মাটি রক্ত না – পেলে যদি আকাশ থেকে বৃষ্টি না – নামে , তা হলে মাটিকে রক্ত দিতে হবে , ” অভয় বলে উঠলেন গম্ভীর গলায় । তখনই একটা ফুলছাপ ফ্রক পরা বাচ্চা মেয়েকে চোখের সামনে দেখলাম ।
আমি জিজ্ঞেস করলাম , “ তুমি কে ? ”
“ চেন না আমাকে ? আমি শিবানী । যার জন্য এই ভৈরবী মঠের এত প্রসিদ্ধি , আমি সেই ।
কী ভুলভাল বকছ , আমি বুঝতে পারছি না । ”
“ একদম ঠিক কথাই বলছি । গাে . . ” শিবানী থেমে যেতে আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি , মেয়েটা আমার হাত ধরে একটা হ্যাঁচকা টান দিল , “ চলাে এখান থেকে । ”
“ কোথায় যাব ? আমার তাে এখনও মন্দিরই দেখা হয়নি । ” “ মন্দির পথে যেতে – যেতেই দেখা হয়ে যাবে চলাে । ” তারপর , জানি না কীভাবে , নিজেকে আবিষ্কার করলাম মন্দিরের একদম সামনে।
Bengali Horror Story – Horror Story In Bengali – Bangla Vuter Golpo
চারদিক জ্যোৎস্নায় ভেসে যাচ্ছে , আর তার ভিতরে শ্বেতশুভ্র দেবীমূর্তি । শুধু তার গলার কাছে একটা লাল দাগ । একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকতে – থাকতেই টের পেলাম , একটা ছােরা হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে এগিয়ে আসছে আমার গলার দিকে । কিন্তু আমার গলা পর্যন্ত পৌঁছনাের আগেই শিবানী এক পা এগিয়েই যেন , নিজের গলায় নিয়ে নিল সেটাকে । আর সাদা জ্যোৎস্নার মধ্যে লাল রক্ত মিশে । যেতে থাকল ।
শিবানী আমার থেকে দূরে সরে যেতে – যেতে বলতে থাকল , “ সেবারও চৈতী পূর্ণিমার রাতে একটা বাচ্চা মেয়েকে নিয়ে আসা হয়েছিল , মায়ের কাছে বলি দেওয়া হবে বলে । কারণ গােটা গ্রামের মধ্যে তাকেই সবচেয়ে সুন্দরী আর সুলক্ষণা বলে মনে হয়েছিল তান্ত্রিকের ।
এবার সেই মেয়েটির বাবাই ছিল মন্দিরের পূজারি । পূজার মাঝখানে সে আবিষ্কার “ কিন্তু করে যে তার নিজের মেয়েকেই নিয়ে গাড়ি করে আসা হয়েছে বলি দেওয়ার জন্য । চিৎকার বেশি দুশি করে আসন ছেড়ে উঠে পড়তে যায় সেই যিনি দেখ পুরােহিত । কিন্তু তার আগেই তার হাত – পা আগেই ম বেঁধে ফেলা হয়েছে । ”
বাবা কাল ‘ তারপর ? ” আমি একটা ঘােরের মধ্যে জিজ্ঞেস করি ।
তারপর থেকে সেই পুরােহিত বুঝতে না আজও জলে – স্থলে – অন্তরীক্ষে মেয়ের বাবা ৪ খুনের প্রতিশােধ নিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে । এদিকে আবারও দু ’ বছর বৃষ্টি হয়নি গ্রামে উত্তর আমি তাই . ” কথাটা শেষ না – করেই । কিন্তু মাস মিলিয়ে গেল শিবানী ।
পেয়ে গিয়ে আমার চোখের সামনে সেই নিচ্ছি , তখ জ্যোৎস্নালােকিত রাত্রিটা কালাে পরদায় গেল যেন ।
Bengali Horror Story – Horror Story In Bengali – Bangla Vuter Golpo
॥ ৩ ॥
সকালে যখন ঘুম ভাঙল , তখন বাবা – মা আমার সামনে । গ্রামের আরও তিন – চারজন নাম রাধার লােক ওদের সঙ্গে । আমার সারারাত ফোনে না – পেয়ে ওদের এত সাংঘাতিক । দুশ্চিন্তা হয়েছে যে ভাের হতে না – হতে গাড়ি করে রওনা দিয়েছে । ওদের আরও ন্য চিৎকার বেশি দুশ্চিন্তার কারণ , আমাদের জমিজমা যিনি দেখতেন সেই মাধবজেঠু বছরতিনেক আগেই মারা গিয়েছেন , আর সেই খবরটা বাবা কালই পেয়েছে ।
ওই ভৈরবী রারাত মন্দিরের পুরােহিত ছিলেন একসময় । ওই তা হলে শিবানীর বাবা ? মেয়ের মৃত্যুর প্রতিশােধ নেওয়ার জন্য আমায় খুঁজে বের করেছিল । কিন্তু নিল না কেন প্রতিশােধ ?
নাকি নিতে পারল না ? শিবানী আমায় বাঁচিয়ে দিল ? আচ্ছা , শিবানী কেন বাঁচাল আমায় ?
Bengali Horror Story – Horror Story In Bengali – Bangla Vuter Golpo
তবে কি মানুষের মধ্যে যেমন একদল কেবলই প্রতিশােধ নিতে চায় , কেউ ক্ষতি করলে তার পালটা ক্ষতি করে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে চায় , অশরীরীদের মধ্যেও তেমন ? আবার অন্য একদল মানুষ যেমন ভালবাসায় বিশ্বাস করে , বিশ্বাস করে ক্ষমা করে দেওয়ায় , ওদের মধ্যেও ঠিক একদল আছে ? তাই বাবা ভুলতে না – পেরে প্রতিশােধের বৃত্তে ঘুরে বেড়ালেও , মেয়ে আবার ভালবাসতে পেরেছে , নতুন করে !